পাসপোর্ট তথ্য সংশোধন ফরম – পাসপোর্ট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা
পাসপোর্টে ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ হলে তা পরিবর্তনের জন্য তথ্য সংশোধনপূর্বক পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন করতে হয়। পাসপোর্ট সংশোধন আবেদনের মাধ্যমে যে সকল তথ্য পরিবর্তন করা যাবে তার তালিকা দেয়া হল-
- নিজের নাম বাংলা
- নিজের নাম ইংরেজি
- পিতার নাম (NID Card আনুসারে)
- মাতার নাম (NID Card আনুসারে)
- জন্ম তারিখ
- পেশা
- অন্যান্য
চাহিত সংশোধনীর পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণাদি জমা দিতে হবে। সাধারণত ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নিজের নাম, পিতা মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র এবং শিক্ষা সনদ জমা দিতে হয়।
পাসপোর্ট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা
পাসপোর্ট সংশোধনের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে বাংলাদেশী নাগরিকের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং পাসপোর্টের তথ্যে গড়মিল থাকলে তা ভোটার আইডি কার্ডে নিজের নাম, পিতা মাতার নাম এবং বয়স আনুসারে পাসপোর্টের তথ্য পরিবর্তন করতে পারবে।
আর যারা অপ্রাপ্ত বয়স্ক অর্থাৎ এখনো জাতীয় পরিচয় পত্র হয়নি তারা তাদের পাসপোর্টের তথ্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুসারে সংশোধন করতে পারবে। তাছাড়া বোর্ড পরিক্ষার সনদ অনুসারেও পাসপোর্ট সংশধোন করা যাবে। JSC, SSC, HSC কিংবা সমমান পরীক্ষার সনদ অনুসারে তথ্য পরিবর্তন করা যাবে।
পাসপোর্ট সংশোধন ফরম
পাসপোর্ট সংশধনের সর্বশেষ নির্দেশনা আনুসারে পাসপোর্টের তথ্য পরিবর্তন করতে হলে লিখিত আবেদন জমা দিতে হবে। লিখিত আবেদন কিরুপ হবে তার জন্য ফরম দেয়া হয়েছে। পাসপোর্ট সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে সেটি প্রিন্ট করে নিতে হবে।
সংশোধন ফরম সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। ইংরেজি লিখাগুলো বড় হাতের অক্ষরে লিখতে হবে। পাসপোর্টের ভুল তথ্য এবং চাহিত সঠিক তথ্য উল্লেখ করে পাসপোর্ট সংশোধন ফরমটি পূরণ করতে হবে। নিচের বাটনে ক্লিক করে পাসপোর্ট সংশোধন ফরম ডাউনলোড করতে পারেন।
পাসপোর্ট সংশোধন ফরম সংশোধন পূরণ করতে যা যা প্রয়োজন হবে
- আবেদনকারীর নাম (বাংলা ও ইংরেজি)
- পাসপোর্ট নাম্বার
- পাসপোর্ট ইস্যু স্থান ও তারিখ
- পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ
- আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নাম
- ভুল এবং চাহিত সঠিক তথ্যের তালিকা
- ভুল প্রমানের প্রমাণাদি
পাসপোর্ট বিতরনের ধরন সাধারণ / জরুরী টিক চিহ্ন দিয়ে বাছাই করতে হবে। পাসপোর্ট রি-ইস্যু ফি পরিমান ও পরিশোধের বিবরন লিখতে ফরম পূরণ করতে হনে। ব্যাংকের নাম, শাখা এবং চালান নাম্বার লিখার অপশন পেয়ে যাবেন।
প্রয়োজনীয় তথ্য আপনার জানা থেকলে বা আপনার কাছে উক্ত কাগজ পত্র থাকলে নিজে নিজে সংশোধন ফরম পূরণ করতে পারবেন। সংশোধনী ফরম পূরণ করে সাথে প্রয়জনিত প্রনামাদি সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট সংশোধনী অঙ্গিকারনামা
পাসপোর্ট সংশোধনীর জন্য সংশোধন ফরম পূরণ করার সাথে সাথে অঙ্গিকারনামা লিখতে হয়। অঙ্গিকারনামা লিখা নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। form.gov.bd সরকারি সাইটে এবং পাসপোর্ট সংশোধন নিরদেশনায় অঙ্গিকারনামা লিখার ফরম দিয়ে দেয়া হয়েছে।
পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য অঙ্গিকারনামায় আবেদনকারীর নাম, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা এবং পেশা উল্লেখপূর্বক ফরমের মধ্যে থাকা তালিকায় ভুল তথ্য এবং চাহিত সঠিক তথ্য দিয়ে টেবিলটি সম্পূর্ণ করুন। আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং ইস্যুর তারিখ লিখতে হবে।
পাসপোর্ট এর তথ্য পরিবর্তন ও সংশোধন সম্পর্কিত অঙ্গিকারনামা PDF ফাইল নিচে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই ফাইলটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন। তারপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করুন। সংশোধন ফরম ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের সাথে এই অঙ্গিকারনামটিও জমা দিতে হবে।
নিয়ম আনুসারে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করলে জরুরী পাসপোর্ট ৭ কর্ম দিবস এবং সাধারন পাসপোর্ট ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে গ্রাহকের হাতে পৌছে যায়। সংশোধনের কারণ যথাযথ এবং সংযুক্ত প্রমান পত্র (জাতীয় পরিচয় পত্র ও বোর্ড পরীক্ষার সনদ) ভেলিড হলে খুব সহজেই পাসপোর্টের ভুল সংশোধন হয়ে যায়।
পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে নিচে তালিকা ভুক্ত করা হলো। আশাকরি লিখাগুলো আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড এবং ই পাসপোর্ট সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য পেতে সহায়তা করবে।
Home | Nid Service |
E Passport | https://www.nid-service.com/tag/e-passport/ |